মো. নুরুল করিম আরমান, লামা প্রতিনিধি:
দুর্যোগ কখনো কাম্য নয়। কিন্তু প্রকৃতির খেয়াল, প্রকৃতির উপর মানুষের হস্তক্ষেপ, অসচেতনতা, ভৌগলিক, অবস্থান ইত্যাদি কারণে দেশে দুর্যোগ অনিবার্য। দুর্যোগ সম্পর্কে আগে থেকেই জানা থাকলে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি কমানো সম্ভব। দুর্যোগের সময় মানুষ নিজেকে ও সম্পদ রক্ষায় ব্যস্ত থাকে। এতে করে শিশুদের খেয়াল ও যতœ নিতে পারেন না অভিভাবকরা। তাই শিশুদের মারাতœক ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য অভিভাবকদের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকা ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি -একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এ লক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যদের নিয়ে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় দুই দিনব্যাপী ‘দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ক প্রশিক্ষণের আয়োজন করে স্থানীয় বেসরকারী সংস্থা ‘তহ্জিংডং’। উপজেলার ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০জন শিক্ষক ও পরিচালনা কমিিিটর সদস্যদের নিয়ে স্থানীয় এনজেড একতা মহিলা সমিতির সভা কক্ষে আয়োজিত প্রশিক্ষণটি গত বুধবার সকালে শুরু হয়। এতে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লামা স্টেশন কর্মকর্তা সাফায়েত হোসেন, আলীকদম সূর্যের হাসি ক্লিনিকের ম্যানেজার স্মৃতিভূষণ চাকমা, ইনিশিয়েটিভ ফর রিচার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর লিভিং ষ্টোন চাকমা, ক্রীত রঞ্জন তালুকদার প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। প্রশিক্ষণের প্রথম দিন দুর্যোগের প্রভাব ও দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং দ্বিতীয় দিন দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবেলায় সক্ষমতা, ক্ষতি লাঘবে সতর্কীকরণ সহ দুর্দশা লাঘব ও ক্ষতিপূরণে সহায়তা বিষয়ের উপর বিস্তারিত ধারণা দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে তহ্জিংডং এর সিএইচটিএসআইডি প্রকল্পের কমিউনিটি মোবিলাইজার মোহাম্মদ ইব্রাহীমের সভাপেিত্ব অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ফাতেমা পারুল। এইচআইডি-সিএইচটি, ইউএনডিপি’র লামা সাব অফিসের প্রোগ্রাম অফিসার গোলাম মোস্তফা কামাল, তহ্জিংডং এর একাউন্স সুভাশীষ চাকমা বিশেষ অতিথি ছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।